ঢাবি ভর্তি পরীক্ষায় ‘ক’ ইউনিটে প্রথম সিয়াম যা হতে চান

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে। এতে প্রথম হয়েছেন বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করা মেফতাউল আলম সিয়াম। তিনি ১২০ নম্বরের মধ্যে ১১৭ দশমিক ৭৫ নম্বর পেয়েছেন।

সিয়ামের বাড়ি বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার ময়দানহাটা ইউনিয়নের দাড়িদহ গ্রামে। তার বাবা খোরশেদ আলম এবং মা মঞ্জিলা আরম। সিয়ামের বাবা দীর্ঘদিন এনজিওতে কাজ করে অবসর নিয়েছেন। আর মা গৃহিনী। তিন ভাইয়ের মধ্যে সবার বড় সিয়াম। তার বাকি দুই ভাই জমজ। তারা বগুড়া জেলা স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে।

সিয়াম বগুড়া বিয়াম মডেল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এসএসসিতে জিপিএ-৫ (গোল্ডেন) পেয়ে উত্তীর্ণ হন এবং ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পান। এইচএসসিতেও জিপিএ-৫ (গোল্ডেন) পেয়ে উত্তীর্ণ হন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য খুবই ভালো প্রস্তুতি ছিল বলে জানান সিয়াম। একটি প্রশ্নের উত্তর ভুল করায় ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় পূর্ণ নম্বর পাননি। সিয়াম জানান, বড় হয়ে পদার্থবিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা করতে চান তিনি।

সরকারি আজিজুল হক কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. শাহজাহান আলী বলেন, ‘সিয়াম অত্যন্ত মেধাবী। সে সবসময় পড়াশোনায় মনোযোগী ছিল। করোনার কারণে দীর্ঘদিন কলেজ বন্ধ থাকলেও এবং শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা স্বাভাবিকের তুলনায় কম হলেও সিয়াম বসে ছিল না। সে সবসময় স্যারদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে এবং পড়াশোনা বুঝে নিয়েছে। যার ফলে সিয়াম এখন দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ক’ ইউনিটে প্রথম হয়েছে।’

ময়দানহাটা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুব আলম মানিক বলেন, ‘সিয়াম আমাদের গ্রামের এবং সারাদেশের গর্ব। ঢাবিতে তার এত ভালো রেজাল্ট পুরো গ্রামের জন্য গর্বের। তাকে দেখে অন্য শিক্ষার্থীরাও অনুপ্রাণিত হবে এবং ভালো ফলাফল করবে। এভাবেই দেশ ও জাতি উন্নত হবে।’

বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিটের প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ফল প্রকাশ করেন। এ বছর ‘ক’ ইউনিটে আবেদন করেছিলেন ১ লাখ ১৭ হাজার ৯৫৭ জন। এর মধ্যে অংশগ্রহণ করেছেন ৯৪ হাজার ৫০৫ জন। পাস করেছেন মাত্র ১০ হাজার ১৬৫ জন শিক্ষার্থী, যা মোট শিক্ষার্থীর ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ। বাকি ৮৯ দশমিক ২৪ শতাংশ শিক্ষার্থী ফেল করেছেন। এই ইউনিটে গতবার পাসের হার ছিল ১৩ দশমিক ০৫ শতাংশ।

এবারে ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয় হয়েছেন চট্টগ্রাম কলেজের শিক্ষার্থী আসিফ করিম, তার স্কোর- ১১২ দশমিক ৭৫। তৃতীয় হয়েছেন খুলনা পাবলিক কলেজের শিক্ষার্থী নিত্য আনন্দ বিশ্বাস। তার স্কোর- ১১১ দশমিক ৯৫১। সমকাল।